ব্রেকিং নিউজ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবাদানের অনুমতি পেল স্টারলিংক

 

বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবাদানের অনুমতি পেল স্টারলিংক

বাংলাদেশে স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানের অনুমোদন পেল ইলন মাস্কের স্টারলিংক। গত ২৮ এপ্রিল, সোমবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই অনুমোদন দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।

স্টারলিংক বাংলাদেশের ইন্টারনেটে নতুন সংযোজন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার পর দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশে বৈশ্বিক এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গত ২৫ মার্চ এ-সংক্রান্ত লাইসেন্সিং গাইডলাইন জারি করে। এই গাইডলাইনের আওতায় স্টারলিংক লাইসেন্স পাওয়ার জন্য ফি, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিটিআরসি বরাবর আবেদন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে আবেদন করা লাইসেন্স ইস্যুর জন্য ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।

অনুমোদন তথা লাইসেন্স পেলেও বাংলাদেশে স্টারলিংকের সেবা চালু হবে কবে? ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ প্রশ্নের জবাবে প্রথম আলোকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে স্টারলিংক অনুমোদন পেয়েছে। মে মাসের মাঝামাঝিতে চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। স্টারলিংক বাণিজ্যিকভাবে চালুর জন্য একটি অনুরোধ করেছে, যেটা লোকাল গেটওয়ে ছাড়া। সরকার ৯০ দিনের জন্য সে অনুমতি দেবে। এ ছাড়া তারা ট্যারিফ প্ল্যানের (সেবামূল্য) জন্য কাজ করছে। এ বিষয়ে তারা বিটিআরসিতে আবেদন করবে।

প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে উপর্যুপরি ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে স্টারলিংককে বাংলাদেশে নিয়ে আসা একটা গণদাবিতে পরিণত হয়েছিল। পাশাপাশি বাংলাদেশকে বিনিয়োগবান্ধব হিসেবে একটি বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছা ছিল প্রধান উপদেষ্টার।

প্রধান উপদেষ্টার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত এই বিশেষ সহকারী বলেন, বাংলাদেশের হাওর-বাঁওড় দ্বীপাঞ্চলে, দুর্গম পার্বত্য এলাকায়, বিশেষভাবে উপকূলীয় দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন ইন্টারনেট–সেবা পৌঁছে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেসব অঞ্চলে এখনো ফাইবার অপটিকস কেব্‌ল পৌঁছায়নি, সেখানে দ্রুততম সময়ে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা নিজে উদ্যোগী হয়ে স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ককে ফোন করে ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংককে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করার আহ্বান জানান। এ লক্ষ্য অর্জনে বিডা, বিটিআরসি, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নিবিড়ভাবে কাজ করেছে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও বলেন, স্টারলিংকের সেবাগুলোর মধ্যে একটি প্রাথমিক সেবা হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট, যেখানে লোডশেডিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে না, যেটি আইএসপির ক্ষেত্রে হয়। অনেক ক্ষেত্রে যদি লম্বা সময় ধরে লোডশেডিং থাকে, মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারির ব্যাকআপ ফুরিয়ে গেলে মোবাইল ইন্টারনেটেও বিঘ্ন ঘটে। স্টারলিংকের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা হবে না।

উল্লেখ্য, গত ৯ এপ্রিল পরীক্ষামূলকভাবে স্টারলিংকের ইন্টারনেট চালু হয় দেশে। সেই পরীক্ষার পরে এবার স্টারলিংক আনুষ্ঠানিকভাবে সেবাদানের লাইসেন্স পেল। 

সূত্র: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তি, প্রথম আলো

Post a Comment

0 Comments